খেলার ধরন জঘন্য, বিচ্ছিরি : পাপন
|
১৪ চৈত্র ১৪৩০ |
Thursday, March 28, 2024
: ১৪০)
হুটহাট জয় এলেও লাল বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশ কখনোই ভালো দল ছিল না। তবে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এতটা খারাপ খেলবে এমনটাও ভাবেননি যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সিলেট টেস্টে দলের খেলার ধরন, খেলোয়াড়দের মানসিকতা দেখে বিস্মিত হয়েছেন তিনি। ম্যাচটি বাংলাদেশ হেরেছে ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে। এই সংস্করণে এর চেয়েও বড় ব্যবধানে হারের রেকর্ড আছে টাইগারদের, তবে সিলেটে যেভাবে আত্মসমর্পণ করেছে সেটি মানতে পারছেন না পাপন।
প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসের কোনোটিতেই ২০০ রানও ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ। দুই ইনিংসে মাত্র একজন পান হাফসেঞ্চুরি, পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি ছিল একটি। লঙ্কানদের বড় লক্ষ্য তাড়ায় একের পর এক ব্যাটার উইকেট উপহার দেন বাজে শট খেলে। তা বিস্তর সমালোচনার খোরাক জুগিয়েছে। বিসিবি সভাপতি পাপনও খেলার ধরন নিয়ে ক্ষুব্ধ। তার চোখে স্বাগতিকদের পারফরম্যান্স ছিল জঘন্য ও বিচ্ছিরি। পাপনের মনে হচ্ছে এই দলের ক্রিকেটাররা টেস্ট খেলতে আগ্রহী না, ‘সমস্যা এখানে হারা নিয়ে নয়। সমস্যা হচ্ছে, যেভাবে তারা হেরেছে। যেভাবে তারা খেলেছে, তাদের যে মাইন্ডসেট, অ্যাটিটিউড, শট নির্বাচন, এটি জঘন্য, বিচ্ছিরি ছিল দেখতে। মনে হয়েছে, হয় তারা এই সংস্করণ খেলতে চায় না অথবা অন্য কোনো সমস্যা। এটি নিয়ে আমরা কষ্ট পেয়েছি।’
পরীক্ষিত ক্রিকেটারদেরই দলে নেওয়া হয়েছে। এরপরও তারা যেভাবে খেলেছে সেটি নিয়ে মনক্ষুণ্ন পাপন বলেছেন, ‘এখানে কেউ বাচ্চা ছেলে না যে হঠাৎ করে তাদের নামিয়ে দেওয়া হলো। এমন না যে তাদের বলে দিতে হবে। তারা প্রত্যেকেই জানে (কী করতে হবে)। এখানে আমাদের মন খারাপ হয়েছে।’ বিশেষ করে লিটন দাসের উইকেটটা ছিল দৃষ্টিকটু। দল যখন ঘোর বিপাকে তখন তিনি কি না প্রথম বলেই আউট। ডাউন দ্য ট্র্যাকে গিয়ে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন, তাতেই বিপত্তি। তার এভাবে আউট হওয়াটা সবার মতো মানতে পারছেন না পাপনও, ‘বিশ্বকাপ থেকেই ওকে দেখতেছি। মনে হচ্ছে, দেয়ার ইজ সামথিং রং। এ জন্যই তাকে কিন্তু ওয়ানডে থেকেও ড্রপ করেছি।’
ওয়ানডে সিরিজে টানা দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর লিটন বাদ পড়েন দল থেকে। পাপন মনে করেন টেস্ট সিরিজেও তাকে বিশ্রাম দেওয়ার দরকার ছিল, ‘আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন-টেস্ট ম্যাচটাতেও না খেলালেই ভালো হতো। কিন্তু তখন আপনারা সবাই বলতেন টেস্টে আপনার এমন রেকর্ড, এই-সেই। ওরে কেন বাদ দিল। খামাখা একটা হুলস্থূল করত মানুষ। কিন্তু ওকে এই জায়গাটায় আরও কয়েক দিন বিরতি দিলে সে ভালোভাবেই কামব্যাক করতে পারত।’
দলে অভিজ্ঞদের আনাগোনা কমেছে, এই সময়টা তরুণদের জন্য একটু কঠিন হলেও এখনই দলের পারফরম্যান্স ভেঙে পড়ার মতো কিছু দেখছেন না পাপন, ‘তামিম, সাকিব, মুশফিক, রিয়াদের মতো প্লেয়াররা নেই। ওরা প্রথম এ রকম একটা খেলা খেলতে যাচ্ছে যেখানে কেউ নেই। এখানে হারা-জেতা নিয়ে চিন্তিত না। হঠাৎ করে অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা যখন চলে যায়; নতুন একটা দল আসে, তারা ৪-৫ বছর স্ট্রাগল করেই। সেদিক থেকে বলব আমাদের দলে ওরকম খারাপ অবস্থা হয়নি।’