সর্বশেষ সংবাদ: জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুসরণ করছে ইবতেদায়ী মাদ্রাসা: শিক্ষামন্ত্রী রূপগঞ্জে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে কিশোর গ্যাং সদস্যরা সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ কানাডা-আমিরাতে ঢুকতে না পেরে ফিরে আসছেন ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে ——- তারা‌বো পৌরসভার মেয়র হা‌সিনা গাজী সোনারগাওঁয়ের সাদিপুর ইউ,পিতে ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় র‌্যাব-১১ এর অভিযানে ০৪ পরিবহন চাঁদাবাজ গ্রেফতার রূপগঞ্জে পুলিশ পরিদর্শকসহ ব্যবসায়ীকে হানজালা বাহিনীর হুমকি, ইটপাটকেল নিক্ষেপে দুই পুলিশ সদস্য আহত রূপগঞ্জে মন্ত্রীর পক্ষে ছাত্রলীগ নেতারদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হলেন আহমদে জামাল ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু

সকল শিরোনাম

“এপেক্স ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট কাউন্সিল” এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কমিটি গঠন ভুলে ভরা এনআইডি ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর ৪৩ পণ্য রপ্তানিতে মিলবে প্রণোদনা যেকারণে পুরুষদের শুক্রাণুর মান কমে যাচ্ছে ইফতারে পুদিনা পাতা খেলে পাবেন ৮ উপকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল হতে পারে ঢাকার কড়াইল বস্তিতে আগুন বিএনপি নেতারা কেন স্ত্রীদের ভারতীয় শাড়ি পোড়াচ্ছেন না, প্রশ্ন প্রধানমন্ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বনাম বইপড়া বাংলা নববর্ষ উদযাপনে অপপ্রচার চালালেই ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শাহরুখ কন্যার গোসলের ভিডিও ভাইরাল ‘ভালোবাসা’ এক সংজ্ঞাবিহীন অনুভূতির নাম ২৬ দিনের ছুটিতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এপ্রিলে বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির ঈদকে ঘিরে সরব সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লী ফোটানো চা খেলে মারাত্মক বিপদ, বাঁচার উপায় আছে? ইফতারি প্রদর্শনের সামগ্রী নয়! বাল্টিমোর সেতু দুর্ঘটনা ভয়াবহ: বাইডেন খেলার ধরন জঘন্য, বিচ্ছিরি : পাপন মার্কিন মদদেই কি যুদ্ধবিরতি আটকে রাখছে ইসরাইল দেশে ১৭ কোটি মানুষের ২২ কোটি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট নাসির-তামিমার মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ একাত্তরে আপনি কোথায় ছিলেন, ফখরুলকে কাদের এই সরকার ১৫ বছরে গণতন্ত্র নিয়ে কোনো কাজ করেনি: ফখরুল

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

“এপেক্স ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট কাউন্সিল” এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কমিটি গঠন ভুলে ভরা এনআইডি ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর ৪৩ পণ্য রপ্তানিতে মিলবে প্রণোদনা ইফতারে পুদিনা পাতা খেলে পাবেন ৮ উপকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল হতে পারে ঢাকার কড়াইল বস্তিতে আগুন বিএনপি নেতারা কেন স্ত্রীদের ভারতীয় শাড়ি পোড়াচ্ছেন না, প্রশ্ন প্রধানমন্ বাংলা নববর্ষ উদযাপনে অপপ্রচার চালালেই ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এপ্রিলে বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির কুড়িগ্রামে স্বাধীনতার মাসে জাতীয় পতাকার আদলে ধানক্ষেত ফোটানো চা খেলে মারাত্মক বিপদ, বাঁচার উপায় আছে? বাল্টিমোর সেতু দুর্ঘটনা ভয়াবহ: বাইডেন মার্কিন মদদেই কি যুদ্ধবিরতি আটকে রাখছে ইসরাইল দেশে ১৭ কোটি মানুষের ২২ কোটি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট

নুসরাত সব দোসতো তোর!!

| ২৮ চৈত্র ১৪২৫ | Thursday, April 11, 2019

--- মীর আব্দুল আলীম:
এই নুসরাত; তুই মরলি কেন? সব দোসতো তোর। সব দোস এখন তোর লাশের! জানিসনা
তুই জন্মেছিস বাংলাদেশে? যৌন নিপীড়ন হয় এদেশের ঘরে ঘরে। প্রতিবাদ করেছিস
তাই ওরা তোকে শরীরে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারলো। মারে তুই কেন প্রতিবাদী
হতে গেলি? এদেশে ওসব মানায় না। প্রতিবাদ করলি আর তোকে জীবন দিতে হলো।
তোকে নিয়ে পত্রপত্রিকায় ঢের লেখালেখি হচ্ছে। মিডিয়ার শীর্ষ শিরোনাম
হচ্ছিস তুই। তুই এখন এদেশের শীর্ষ সেলিব্যেটিদের একজন। এভাবে ক’দিন বেশ
চলবে। আবার সবাই তোকে ভুলে যাবে। বিচার? এ নিয়ে আমি, আমরা সবসময় শংঙ্কিত।
তুই বল ক’টা যৌন নির্যাতন, ধর্ষন, খুনের বিচার হয় এদেশে? তোর হত্যারারীরা
ইসলামের সুন্নতী লেবাস পরে আছে তাই তুই মাদ্রাসার ছাত্রী হলেও তোর
ব্যপারে প্রতিবাদী হচ্ছে না আলেম সমাজ। সোচ্চারতো দেখিনা সুশীল সমাজকেও।
সবাই সোচ্চার হলে ওরা যৌন নিপীড়ন আর হত্যা করার সাহস পায় কি করে? মারে
তোর ভাগ্য বড্ড ভালো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তোর বিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন।
হয়তো তোর খুনের বিচার হলে হতেও পারে। ভাগ্যাহততো এদেশের শতশত নারী।
ওভাই, তুই কেন মরলি? সব দোসতো তোর। দোস তোর ক্ষত বিক্ষত লাশের!! তোকে কে
বলেছে রাস্তায় বের হতে? জানিসনা রাস্তায় ‘রাস্তার দানব’ থাকে? মানুষ পিসে
মারে দানবেরা। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় হুস ছিলো না তোর? নির্ঘাত
মরবিইতো? তুইই বলনা, এ ভুলের কি আর ক্ষমা আছে?
এই ব্যাটা, তোকে কে বলেছে বহুতল ভবনে যেতে? জানিসনা ওসব ভবনের তো বৈধতা
নিয়েই প্রশ্ন আছে। জারজ ভবন গুলোতে কেন গেলি তুই? যেখানে নেই কোন অগ্নি
নির্বাপণ ব্যবস্থা। বহির্গমন পথও পর্যাপ্ত নেই। নেই অন্য কোন নিরাপত্তাও।
আগুন লাগলেতো তোর গা ঝলসে যাবেই। তুই আঙ্গার হবি এটাইতো স্বাভাবিক। ওরো
সোনা ভাই তুই মরে গেছিস বেঁচে গেছিস।এদেশের অন্যকোন বালাইসার তোকে আর
ছোঁবে না কখনো।
অকালেই তুই ক্যান্সারে মরে গেলি? কিডনি কিংবা ফুসফুস তোর অকেজো হয়ে আছে।
হবেইতো? মরবিইতো তুই? তোর ক্যান্সার হবে নাতো কার হবে? তুই যে এদেেেশই
গর্বিত নাগরিক!! বিষ মিশানো খাবার তোকে কে গিলতে বলেছে? ক্যান্সারের
উপাদানগুলোতো প্রতিদিন গিলে গিলে খাচ্ছিস তুই। তাহলে তোর রোগবালাই হবে
নাতো কার হবে? তুই মরবি নাতো ভুটান, কেনাডা, ফ্রান্সের মানুষগুলো মরবে?
মরে গেছিস ভাই; ভালই হয়েছে। তা না হলে আর কত ধরনের বিষ যে তোকে গিলতে হতো
আল্লাহমালুম!!
এই মেয়ে তুই ধষিতা? ধর্ষন করে নরকীটেরা তোকে হত্যা করেছে? বেশ করেছে।
জানিসনা এদেশে ধর্ষকরা ঘরে রাস্তায় অফিসে এমনকি বাসে ট্রাকেও ওঁৎ পেতে
থাকে? কখনো ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, অফিসের বস, ডাক্তার, শিক্ষক, সাংবাদিক
কিংবা স্বজনের বেশ ধরে থাকে? সব জেনেও তুই দেশ ছেড়ে কেন পালিয়ে গেলে
না?পাসপোর্ট ভিসা না হলে মাটি খুঁড়ে কেন পাতালে পালিয়ে থাকলি না? জানিসতো
ওরা সবখানে মানা বেশে ওঁৎ পেতে আছে। বাসে উঠবি, বসের অফিসে পেটের ূায়ে
চাকুরী করবি, রাস্তায় বের হবি, বাসে চড়বি ধর্ষিততো তুই হবিই?ধর্ষকরা
কিন্তু একটা জব্বর কাম করেছে। তোকে দুনীয়া ছাড়া করে তোকে সকল বপদ বিপদ
থেকে এক্কেবারে বিপদ মুক্ত করে দিয়েছে। তুই এখন বড় বেশি নিরােদ। অনেক
নিরাপদ। ভালো থাকিস বোন আমার পরপারে। পরলে ক্ষমা করিস আমায় আমার অক্ষমতার
জন্যে। আমি আমরা কোনভাবেই তোর সভ্রম আর জীবন রক্রায় কোন কাজে আসি নাই।
ক্সমা করিস বোন, ক্ষমা করিস।
জানি আমার এমন ব্যাঙ্গ লেখায় আঘাত পেতে পারেন কেউ। রাষ্ট্র যন্ত্রও চটে
যেতে পারে। গালাগাল, আন্দোলন, মামলা-হামলা হতে পারে। ক্রসফায়ার, গুমখুন
হতে পারি আমি। পরোয়া করি না। রাস্তায় এভাবে মানুষ মরবে, সকাল সন্ধা ওরা
খবারের নামে দেশের মানুষকে বিষ খওয়াবে, আমার মা-বোন পথে ঘাটে ইজ্জত
হারাবে, ধর্ষিত হবে, খুন হবে। বুঝিনা এটা কোন শ্রেনীর অসভ্যদের দেশ!
চোখের সামনে দেখি শিশুরা গাড়ি চালার, পরিবহনে মানুষ চড়িয়ে ওভারটেকিংসহ
প্রতিযোগিতা চালায়। রাস্তায় পিষে মারে মানুষ, খাদে ফেলে হত্য কওে মানুষ।
প্রতিদিন, প্রতি মূহুর্তে ওরা মানুষ মারছে। দেখছি কিছুইতো করছি না আমরা।
এ হত্যাকান্ড থামিয়ে দেয়া সম্ভব। সরকার পরিবহন মালিক, শ্রমিক সংগঠন
ভেঙ্গে তছনছ করে দিক, সরকারদলের লোকজন পরিবহন খাত থেকে চাঁদা তোলা বন্ধ
করুক। রাস্তার শৃংঙ্খলায় যারা নিয়োজিত তারা ভালো হয়ে যাক। আসৎদের
বান্দরবন, খাগড়াছড়ি কিংবা বনবাসে পাঠিয়ে আমাদের খুনে সড়ককে সহসাই নিরাপদ
করা যায়। কিন্তু সড়ক নিরাপদ কে করবে?
সরকার, প্রশাসন, পরিবহন শ্রমিক সংগঠন সবাই সড়ক দুর্ঘটনা চায় না বলছে,
কিন্তু  কোন কাজ হচ্ছে না কেন? উল্টো দুর্ঘটনা বাড়ছে। সড়ক দুর্ঘটনা
নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন কোন কাজ নয়। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কয়েক মাসেই
সম্ভব। কি ভাবে? সরকার সংশ্লিষ্ট সকলে অধিক মানবিক এবং অন্তরিক হলে সড়ক
দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে। সাথে জনগনকে সচেতন হতে হবে। জনগনকে সচেতন
করা এবংআাইনমানতে বাধ্য করার দায়িত্বটাও কিন্তু  সরকারের। প্রশ্ন হলো, কি
ভাবে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রন করা যাবে?
(১) সরকার যেভাবে জঙ্গি দমন করেছে সবার আগে সেভাবেই আমাদের দেশের পরিবহন
সংগঠন গুলো ভেঙ্গে তছ্নছ্ করে দিতে হবে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে সাবেক
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানকে মন্ত্রী পরিষদ থেকে দুরের রেখে কিছুটা
পথ এগিয়ে আছে সরকার।
(২) সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে সরকারকে অনেক বেশি কঠোর হতে হবে। আমরা বিশ^াস
করি সরকার সংশ্লিষ্টৈরা সম্পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে চাইলে এবং নিচের পন্থা
গুলো অবলম্বন করলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবেই।
(৩) প্রতিটি সড়কে টার্গেট করে সেখানে কয়েকজন ম্যাজিষ্ট্রেটের
(রোকন-উ-দৌলার মত সৎ) মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। যেমন ঢাকা
থেকে ভূলতা পর্যন্ত (ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক) এবং ঢাকা থেকে মেঘনা ব্রীজ
(ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক) পর্যন্ত সড়কে টানা এক সপ্তাহ কিংবা আরও অধিক সময়
ধরে কয়েক দফায় অভিযান চালাতে হবে। তার পর আবার অন্য কোন সড়কে যেম ঢাকা-
মাওয়া, ঢাকা-আরিচাসহ  বিভিন্ন সড়কে হঠাৎ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
পরিবহন আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। এ সময় যেসব গাড়ি কিংবা  ড্রাইভার
সাজাপ্রাপ্ত হলো তারা পূনরায় অবৈধভাবে গাড়ি পরিচালনা, অবৈধ ড্রাইভার
কিংবা ট্রাফিক আইন মেনে না চললে সে সকল গাড়ির রুট পারমিট বাতিল করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে সরকার আয়ের পথও তৈরি কওে নিতে পারে। যেমন যেসব গাড়ির রুট
পারমিট বাতিল হবে সেসব গাড়িকে রুট পারমিট নিতে  কম কওে ৬ মাস সময় বেঁধে
দিতে হবে। গাড়ির সমমূল্যে সরকারকে ফি প্রদান কওে তবেই রুট পারমিন দেয়া
যেতে পারে। এমন অর্থ দন্ড এবং সময় পরিবহন মালিকদেও সচেতন হতে বাধ্য করবে।
(৪) জঙ্গি দমনে যেভাবে র‌্যাবকে কাজে লাগানো হয়েছিলো সেভাবে সাময়িক সময়ের
জন্য তাদের দায়িত্ব দিয়ে মাঠে নামানো যায়। সে ক্ষেত্রে র‌্যাবের সৎ
অফিসারদের বাছাই করে ইউনিট প্রধান করা যেতে পারে। র‌্যাবকে সড়কে আতংক
তৈরি করার কাজে নিয়োজিত করতে হবে। অবৈধ যানবাহন মালিক এবং ড্রাইভারদের
মধ্যে আতংক তৈরি করা গেলে অবৈধ পরিবহন, অবৈধ ড্রাইভারের সংখ্যা একেবারে
কমে আসবে।  সড়কে আইন মানার প্রবণতাও বাড়বে।
(৬) অবৈধ ড্রাইভার কতৃক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলে ড্রাইভার এবং মালিককে আসামি
করে হত্যা মামলা দায়ের করতে হবে। ঐ মামলা দ্রুত বিচার আইনে পরিচালিত হতে
পারে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য বিশেষ আদালও গঠনের কথাও সরকার চিন্তা করতে
পারে।
(৫) আমাদের ট্রাফিক পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশ অনেক বেশি দুর্নীতিগ্রস্থ
বলেই মনে হয়। পত্র-পত্রিকায় ট্রাফিক পুলিশ নিয়ে অনেক খবর বের হচ্ছে। এখনই
তাদের লাগাম টেনে ধরতে হবে।
ধর্ষণ নিয়ে কি আর বলব। দেশে কোথাও নারীরা নিরাপদ নয়। সবখানে নারী ধর্ষিত
হয়। এদেশে ধর্ষণ মামলায় আইনের প্রয়োগ খুব কম। তাই ধর্ষকরা ক্ষণে ক্ষনেই
ক্ষেপে ওঠে। শহর, গ্রাম, গঞ্জে ধর্ষিত হয় নারী। বাড়িতে কর্মস্থলে পথে
নারী ধর্ষিত হয়। ধর্ষকদের কাছে শিশু বৃদ্ধাও রেহাই পায়না। মসজিদের ইমাম,
বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ডাক্তার, উকিল, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক লঞ্চিত করে
নারীদের। আয়া, বুয়া, কচি, বুড়া কেউ বাদ যায় না; ধর্ষিত হয়। হায় ধর্ষকদেও
দেশ!!
প্রশ্ন হলো ধর্ষণ রোধের উপায় কি? দেশে এত ধর্ষণ হচ্ছে কেন? এ প্রশ্নের
উত্তরে অনেকেই বলেন- ভাল মেয়েরা ধর্ষণের শিকার হয় না; পোশাকের সমস্যার
কারনে মেয়েরা ধর্ষিত হয়। অনেকে আবার বলেন বেহায়াপনা করে স্বল্প কাপড়ে
রাস্তায় ঘুরে বেড়ালে ধর্ষণ হবে না তো কি হবে? আর কোন আলেম বলবেন- ‘পর্দা
প্রথায় ফিরে আসলে ধর্ষণ আর হবে না।’ আবার অনেকে বলবেন- ‘কঠোর শাস্তি দিলে
ধর্ষন কমবে।’ সবটাই মানি। ধর্ষকরা কুরুচিপূর্ণ হয় এ কথা কিন্তু সত্য। তাই
ধর্ষকদেও রোধ করারর একটাই পথ আইওেনর কঠোরতার মাধ্যমেস ধর্ষকদেও শাস্তিক
নিশ্চিত করা।
ধর্ষণ বৃদ্ধি হওয়ার জন্য সরকার ও প্রশাসনের ব্যর্থতাও দায়ী। কারণ যারা এর
শিকার হন তারা প্রায় সবাই দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করেন। তাই আইনও এদের
পাত্তা দেয় না। তবে এর শিকার যদি প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তার মেয়ে, বোন
অথবা সাংসদ কিংবা মন্ত্রীদের মেয়ে-বোন হতো তাহলে আপরাধীরা শাস্তি পেত।
তারা উচ্চবর্গীয় তাই তাদের মেয়ে, বোন আর স্ত্রীরা ধর্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা
কম। তবে সাধারণ ঘরের মেয়েদের প্রতি পদেই বিপদের মোকাবিলা করতে হয় আজকের
সমাজে। আসল সমস্যাটা হলো কুরুচিপূর্ণ পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গিতে, সেটা কোনো
শ্রেণিভাগ মানে বলে মনে হয় না। এমনকি শিক্ষাগত যোগ্যতাও এই মানসিকতা
বদলাতে পারে না। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্থানে শিক্ষকের হাতে
ছাত্রী, ডাক্তারের হাতে রোগী কিংবা ডাক্তারনি ধর্ষিত হয় কি করে?
যৌন-ব্যভিচার সর্বযুগে, সর্বধর্মমতে নিন্দনীয় নিকৃষ্ট পাপাচার। ধর্ষণ এবং
ধর্ষণের পর হত্যার চূড়ান্ত শাস্তি মৃত্যুদ- । অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা
হলে এবং সাক্ষ্য-প্রমাণে নিশ্চিত হলে হত্যাকারীর শাস্তিও মৃত্যুদ-।
কিন্তু আমাদের দেশে এ যাবৎ যত ধর্ষণ ও ধর্ষণজনিত হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছে,
তার যথাযথ বিচার সম্পন্ন হয়েছে এরূপ নজির কমই আছে। হয় চূড়ান্ত রিপোর্টে
ঘাপলা নয়তো সাক্ষ্যপ্রমাণে প্রভাবিত করে অপরাধী পার পেয়ে যাচ্ছে। উপরন্তু
এর বিচার চাইতে গিয়ে বিচারপ্রার্থীরা নির্বিচারে পাল্টা হত্যার হুমকি,
কখনো কখনো হত্যা ও হয়রানির শিকার হন। এ অবস্থা থেকে আমাদের অবশ্যই বেরিয়ে
আসতে হবে। ১৯৯৫ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ বিশেষ বিধান আইন করা
হয়। পর্যায়ক্রমে ২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন করা হয়। ২০০৩
সালে এ আইন আবার সংশোধন করা হয়। ধর্ষণের শাস্তি কত ভয়ানক, তা অনেকেই
জানেন না। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ ধারায় ধর্ষণের বিচার হয়। এ আইনে
ধর্ষণের সর্বনিম্ন শাস্তি পাঁচ বছরের কারাদ- এবং সর্বোচ্চ শাস্তি
মৃত্যুদ- করা হয়েছে। আইনের ৯(১) ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো পুরুষ কোনো
নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে, তাহলে সে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-ে দ-িত হবে। এ
ছাড়া অর্থদ-ে দ-িত হবে। ৯(২) উপধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি কর্তৃক
ধর্ষণ বা ওই ধর্ষণ-পরবর্তী তার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিত নারী বা
শিশুর মৃত্যু ঘটে, তাহলে ওই ব্যক্তি মৃত্যুদ-ে বা যাবজ্জীবন সশ্রম
কারাদ-ে দ-িত হবে। অতিরিক্ত এক লাখ টাকা অর্থদ-েও দ-িত হবে। উপধারা
৯(৩)-এ বলা হয়েছে, যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোনো নারী বা শিশুকে
ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ফলে ওই নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন,
তাহলে ওই দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদ-ে দ-িত হবে, যদি কোনো ব্যক্তি
কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করে,
তাহলে ওই ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-ে দ-িত হবে ও এর অতিরিক্ত অর্থদ-
হবে। ধর্ষণের চেষ্টা করলে ওই ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর ও সর্বনিম্ন পাঁচ
বছর সশ্রম কারাদ-ে দ-িত হবে। এ ছাড়া অতিরিক্ত অর্থদ-ে দ-িত হবে। এদেশে
ধর্ষণের পাকাপোক্ত আইন আছে ঠিকই কিন্তু আইনকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
আইনের যারা প্রয়োগ করবেন তারা ঐ আইনের পথে হাঁটেন না। কখনো অর্থের লোভ
কখনোবা হুমকি-ধমকিতে শুরুতেই গলদ দেখা দেয়। মামলার চার্জশিট গঠনের সময়
ফাঁকফোকর থেকে যায়। তাই শেষে রায়ে ধর্ষিত কিংবা নির্যাতনের শিকার লোকজন
সঠিক বিচার থেকে বঞ্চিত হন। ধর্ষণ যেহেতু মস্ত অপরাধ তাই এ মামলাগুলোর
ক্ষেত্রে চার্জশিট গঠনের সময় কোনো ম্যাজিস্ট্রেট অথবা পুলিশের কোনো পদস্থ
কর্মকর্তার নজরদারিতে করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত রিপোর্টের সময়
ভিক্টিমের সাক্ষাৎ গ্রহণ করা যেতে পারে। তাতে করে গোপনে চার্জশিট দাখিলের
ফলে যে জটিলতা তৈরি হয় তা কমে আসবে।
এদেশে ভেজালতো সব জায়গায়। খাবারে ভেজালের কথা কি আর বলবো। ভেজাল খাবার
খেয়ে আমাদের কারো কিডননি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কারো ফুসফুস আক্রান্ত হচ্ছে।
ক্যান্সার কিংবা অন্য কোন জটিল রোগে ভোগলেন স্বজনরা। নিজেও সুস্থ্য নই।
ক্যান্সারে মারা গেছেন চাচা। বাড়ির পাশের শিশুটাও জটটিল রোগে আক্রান্ত।
রোগবালাই পেয়ে বসেছে আমাদের। মানুষ অকালে মারাা যাচ্ছে। বিষ খেলে মানুষতো
মরবেই। বেঁচে থাকার তাগিদেই প্রতিদিনই আমরা খাবার খাই। কিন্তু এই খাবারই
যে আবার মানুষকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করছে সে খেয়াল কজনে রাখেন। আমরা আসলে
কী খাচ্ছি? প্রতিদিন খাবারের নামেতো বিষ খাচ্ছি। বোধ করি বেঁচে থাকার
জন্য; বিষমুক্ত খাবারের জন্য আমাদের আরেকটি যুদ্ধের প্রয়োজন।
সেদিন ঢাকা থেতে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিকের প্রধান শিরোনাম ছিলো  “হাঁস
মুরগি মাছে বিষাক্ত পদার্থ”। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দেশে উৎপাদিত হাঁস,
মুরগি ও মাছের শরীরে মিলেছে হেভিমেটাল (এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ)। যা
হাঁস, মুরগি ও মাছের শরীরে প্রবেশ করছে খাদ্যের মাধ্যমে। বিভিন্ন ধাতু ও
রাসায়নিকসমৃদ্ধ বিষাক্ত ট্যানারি বর্জ্য খাবার হিসেবে অধিক মুনাফার জন্য
ব্যবহার করছে খামারিরা। এ ধরণের মাছ ও মাংস গ্রহণ করলে তা মানবশরীরে
প্রবেশ করে। তা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ
ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা জানান, ট্যানারির বর্জ্য থেকে
উত্পাদিত পোলট্রি ফিডে হেভিমেটালে ক্যাডমিয়াম, লেড (সিসা), মার্কারি
(পারদ) ও ক্রোমিয়ামসহ বেশ কিছু বিষাক্ত পদার্থ মিলেছে। জনস্বাস্থ্য
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ক্রোমিয়ামসহ এসব ধাতু ও রাসায়নিক থেকে ক্যান্সার,
হূদরোগ, আলসার, কিডনির অসুখ হতে পারে। মানবদেহে অতিরিক্ত ক্রোমিয়াম
প্রবেশ করলে পুরুষের সন্তান উত্পাদনক্ষমতা হ্রাস, নারীদের অকাল প্রসব,
বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগও হয়ে থাকে। দেশে
ক্যান্সার রোগী বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বিষাক্ত মাছ ও মাংস গ্রহণ।
আজকের আলোচ্য বিষয় ছিলো (১) সড়ক দুর্ঘটনা, (২) ধর্ষণ, (৩) খাদ্যে ভেজাল,
(৪) অগ্নিকান্ড (৫) নুসরাত হত্যা। এগুলো রোধ হওয়া দরকার। ৫টি বিষয়
নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে। সরকার প্রশাসনকে অনেক বেশি সৎ
এবং আন্তরিক হতে হবে। জনগনকে সচেতন হতে হবে। আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত
করতে হবে। তাহলে সহসাই সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে। নুসরাতরা ঝলসে যাবে না,
খুন হবে না। নারীরা ঘরে বাইরে নিরাপদ থাকবে। আমরা খাদ্য পাব ভেজাল মুক্ত।
কাউকে আগুনে পুড়ে আঙ্গার হতে হবে না। আর এমন দিনের অপেক্ষায়ই রইলাম আমরা।
(লেখক- মীর আব্দুল আলীম, সাংবাদিক,  কলামিষ্ট, গবেষক।