সাইবার আক্রমণের ঝুঁকির তালিকায় শীর্ষে বাংলাদেশ
|
২৯ ফাল্গুন ১৪২২ |
Saturday, March 12, 2016
নিউজ বাংলাদেশ, ঢাকা: বিভিন্ন ধরণের সাইবার আক্রমণের ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশ শীর্ষে অবস্থান করছে বলে সম্প্রতি নিজেদের এক প্রতিবেদনে তথ্য প্রকাশ করেছে সফটওয়্যার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি। মোবাইল ম্যালওয়ার আক্রমণ এবং অফলাইন আক্রমণের শিকার হবার দিক দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান একদম শীর্ষে।
অনলাইন আক্রমণের ঝুঁকির তালিকায়ও বাংলাদেশ বিশ্বে ১৯ নম্বরে অবস্থান করছে বলে জানায় সফটওয়্যার নিরাপত্তায় বিশ্বের নেতৃস্থানীয় এই প্রতিষ্ঠান।
এর ফলে দেশের মোবাইল এবং অফলাইন কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা বিশ্বে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ম্যালওয়ার এবং বিভিন্ন ভাইরাস আক্রান্ত এসব ডিভাইস থেকে হ্যাকাররা যে কোন মূহুর্তে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ব্যাংকিং লেনদেন সংক্রান্ত বিভিন্ন কোড খুব সহজেই চুরি করতে সক্ষম।
কম্পিউটারে বাহ্যিকভাবে সংযোগ করা হয় এমন রিমুভেবল ডিভাইসের মাধ্যমে সাধারণত অফলাইনে কম্পিউটার ম্যালওয়ার আক্রান্ত হয়। এগুলোর মাঝে ফ্ল্যাশ ড্রাইভ, মেমোরি কার্ড, টেলিফোন, এক্সটারনাল হার্ড ড্রাইভ এবং নেটওয়ার্ক ড্রাইভ অন্যতম।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে হ্যাকিং এর মাধ্যমে প্রায় একশো মিলিয়ন ডলার খোয়া যাওয়ার সংবাদে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হলে এ বিষয়গুলোও আশংকাজনকভাবে সামনে চলে আসছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ক্যাসপারস্কির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছিল, সাইবার অপরাধীদের একটি বহুজাতিক দল বিশ্বের প্রায় ১০০টি প্রতিষ্ঠান থেকে দুইবছরে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার চুরি করতে সক্ষম হয়। জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং ইউরোপের বিভিন্ন ব্যাংক তাদের হ্যাকিংয়ের কবলে পড়েছিল বলে বার্তা সংস্থাটি জানায়।
২০১৫ এর ডিসেম্বরে প্রকাশিত ক্যাসপারস্কির বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে সাইবার আক্রমণের এ ভয়াবহ চিত্র উঠে আসে। ক্যাসপারস্কির বিভিন্ন প্রোডাক্ট ব্যবহারকারীদের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি তরা হয় এ প্রতিবেদন।
বাংলাদেশের শতকরা ২২ ভাগ মোবাইল ব্যবহারকারী ম্যালওয়ার আক্রমণের শিকার, যা বিশ্বে প্রথম। বাংলাদেশের পরপরই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা দেশগুলো হলো চীন, নাইজেরিয়া, তানজানিয়া এবং ইরান।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, গতবছর বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কম্পিউটার সাইবার আক্রমণের শিকার হয়। হ্যাকাররা এ আক্রমণ চালাতে ৬.৫ মিলিয়ন হোস্ট ব্যবহার করেছিল বলেও প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়।
ম্যালওয়ারের মাধ্যমে অনলাইনে ব্যাংকের টাকা চুরি করার চেষ্টা করা হয়েছে এমন প্রায় দুই মিলিয়ন ঘটনার তথ্য তারা পেয়েছেন বলে প্রতিবেদটিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রায় ৬৪ শতাংশ কম্পিউটার ব্যবহারকারী বিভিন্ন ধরণের ম্যালওয়ার ও ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানা গেছে ক্যাসপারস্কির বার্ষিক এ প্রতিবেদনে।