‘৬ মাসের জন্য স্কুল-কলেজে ফ্রি ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হবে’
|
৪ ফাল্গুন ১৪২২ |
Tuesday, February 16, 2016
নিউজ বাংলাদেশ, ঢাকা: প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যায়ে ফাইভার অপটিক ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হবে। যাতে করে তরুণরা গ্রামে বসে হইস্পিড ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করতে পারে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কৃষিবীদ ইনস্টিটিউটে ‘কানেক্টিং স্টার্টআপস বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিযোগীদের বাছাই পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি(আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এক লাখ ৭০ হাজার স্কুল কলেজে ৬ মাসের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হবে। এসব স্কুল কলেজে সাড়ে তিন কোটির বেশি ছাত্র-ছাত্রী বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে।
তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমানে তরুণরা আইসিটি খাতে ক্যারিয়ার গড়তে এগিয়ে আসছে।বাংলাদেশে ভবিষ্যতে গুগল, ফেসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তৈরি করবে এদেশের তরুণরা। তাদের মেধা কাজে লাগিয়ে অর্থনীতিতে শক্ত ভিত গড়ে তুলবো। কারণ এদেশের তরুণদের মধ্যে উদ্বাধনী শক্তি লুকিয়ে আছে। তাদেরকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেসিস ও আইসিটি ডিভিশন যা যা করা লাগবে তা করবে।
তিনি বলেন, আমরা ২০২১ সাল নাগাদ এই খাতে ৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করবো। এছাড়া এক হাজার নতুন ব্যতিক্রমী পণ্য নিয়ে আসবো।অর্থাৎ ডিজিটাল বাংলাদেশের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে চাই।
তিনি বলেন, ১৯৯০ সালের আগে সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ না পাওয়ায় ৩০ বছর পিছিয়ে গেছি। একজন সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত না দেওয়ার কারণে এটা হয়েছে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার যে সঠিক সিদ্ধান্ত তার কারণে আইসিটিখাতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
পলক বলেন, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর গত ১৮ অক্টোবর জনতা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের উদ্বোধন করা হয়। এই পার্কে যাতে আন্তর্জাতিকমানের উদ্যোগ গড়ে উঠে, বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি তৈরি হয় তার জন্যই আমারা কানেক্টিং আয়োজন করি। এতে ৪ শতাধিক আবেদন পড়েছে, যা সত্যিই আশাব্যঞ্জক। আমরা দেশে ১হাজার উদ্ভাবনী প্রকল্প তৈরিতে কাজ করছি। যেগুলো নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের বড় অবস্থান নেওয়ার স্বপ্ন দেখি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিযোগিতার ১০জন বিজয়ী জনতা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে বাংলালিংকের সহযোগিতায় ডিজিটাল ইনকিউবিটর সাপোর্ট সেন্টারে এক বছরের জন্য বিনামূল্যে জায়গা বরাদ্ধ পাবে। পাশাপাশি বিজয়ীরা আর্থিক অনুদান এবং মেন্টরিংয়ের সুযোগ পাবে। এছাড়া নির্বাচিত আরো অর্ধশত উদ্যোগ এই ডিজিটাল ইনকিবিউটরে জায়গা বরাদ্ধ নিতে পারবে।
অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের সৌজন্যে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ৪শতাধিক সিম বিতরণ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের পর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে ‘হাউ টু বিকাম এ উইনার’, ‘ফান্ড রাইজিং’ ও ‘নেক্সট জেনারেশন মার্কেটিং’ শীর্ষক সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তিবিদরা আলোচক হিসেবে ছিলেন।
আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর শিকাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বেসিস সভাপতি শামীম আহমেদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল ইসলাম, বাংলালিংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস্, হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম প্রমুখ।